সংবাদ
অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ধরাশয়ী হয়েছে দলটি। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংলিশদের ৬ উইকেটে হারিয়েছিল অজিরা। এবার তারা হারাল ৭২ রানের বড় ব্যবধানে। যার সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাগতিকরা। ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিল ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। কিন্তু মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরের পথ ধরেন।
দলীয় ৪৩ রানে দুই উইকেট হারানো অজিদের মিডল অর্ডারে স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন শতরানের জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক চাপ সামাল দেন। তবে লাবুশেন ৫৮ রান করে বিদায়ের পরের বলেই শূন্য রানে আউট হন অ্যালেক্স ক্যারিও। এই দুই ব্যাটারকে ফেরান লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিয়ে যান স্মিথ। এবার তার সঙ্গে যোগ দেন মিচেল মার্শও। তবে সেঞ্চুরি থেকে ছয় রান দূরে থাকতেই সেই রশিদের ঘুর্ণিতে ক্যাচ তুলে দেন স্মিথ। বিদায়ের আগে ১১৪ বলের ইনিংসে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৯৪ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে মিচেল মার্শের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদের তিন উইকেটের সঙ্গে ক্রিস ওকস ও ডেভিড উইলি নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট পান মইন আলী।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের বলে ওপেনার জেসন রয়ের পর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মালানও শূন্য রানে আউট হন।
এরপর দলের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন ফিলিপ সল্ট ও জেমস ভিন্স। কিন্তু দলীয় ৩৪ রানে সল্ট ২৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝেও মিডল অর্ডার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
জেমস ভিন্সের ৬০ রানের সাথে স্যাম বিলিংসের ৭১ রানে জয়ের পথেই ছিল তারা। কিন্তু অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার ৪ উইকেটের কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। শেষ দিকে আরও দুই উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ফলে ৩৮.৫ ওভারে ২০৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।