সংবাদ
আইভীর বক্তব্য বিএনপির শক্তির উৎস, শামীম ওসমানের নীরবতা!!
নিজস্ব সংবাদদাতা // তিন নেতার বিশাল সো-ডাউন, মেয়র আইভীর বক্তব্য বিএনপির শক্তির উৎস যেমন মনে করছেন সুশীল সমাজ আবার প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের নীরবতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন রাজনৈতিক বৌদ্ধরা। গত ২৭ আগস্ট শহরে ২ নং রেলগেইট এলাকায় শোকসভায় লক্ষ লোকের জমায়েত করে দেশ বিরোধী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে হুশিয়ারী করেন। তার ওই সভাকে খোদ নিজ দলের জেলার শীর্ষ নেতা আব্দুল হাই, আনোয়ার হোসেন, মেয়র আইভী, এড. আনিছুর রহমান দিপু, জাহাঙ্গীর আলম, জি এম আরফাতসহ একটি নিজ দলীয় রাজনৈতিক বিশাল মাপের নেতারা। শামীম ওসমানের সভার রেশ না কাটতেই ২ দিন পর মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীর্ঘ সময় নানাভাবে উল্টো নিজ দলের সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। শামীম ওসমানের সভায় বক্তব্য দেয়া হয়, বিএনপি – জামায়াতকে আর ছাড় দেয়া হবে না। শামীম ওসমানের দীর্ঘ প্রায় ১ ঘন্টার বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন। নানাভাবে হুংকার দেন। এতে বিরোধী দলের নেতাদের শরীরের যতটা না লেগেছে, তার চেয়ে বেশি লেগেছে মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী শরীরে। আইভীর ওই বক্তব্যে বিএনপি আন্দোলনের শক্তির উৎস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বৌদ্ধরা।
নারায়ণগঞ্জ ১ লা সেপ্টেম্বর ( বৃহস্পতিবার) সকাল হতে বিএনপির সাথে পুলিশ প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় হামলা, ইট পাটকেল নিক্ষেপ, গুলিবর্ষণের মত ঘটনায় ফারুক ও শাওন নামে ২ কর্মী নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে পথচারী, বিএনপি ও পুলিশের প্রায় শতাধিক আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করলেও হঠাৎ বিএনপি এমন মারমুখি আচরনে লিপ্ত হলো কেন এমনই প্রশ্ন সর্বত্র। তবে সর্বত্র একটি বিষয় চাওড় হচ্ছে। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান গত ২৭ আগস্ট শোকসভায় বিএনপিকে কঠোর হুশিয়ারি করে প্রায় ঘন্টা খানিক বক্তব্য রাখেন দল, সংগঠন ও বিএনপির বিরুদ্ধে। তার ২ দিন না যেতেই নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী একটি অনুষ্ঠানে দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখেন। যে বক্তব্যের মাঝে আইভী বিএনপি বা বিরোধী দলের প্রতি বিন্দু পরিমান বক্তব্য না রাখলেও শামীম ওসমানকে নিয়েছেন এক হাত। মেয়র আইভীর অনুষ্ঠান ছিল যেন শামীম ওসমান বিরোধী বক্তব্য দেয়ার জন্য। সেই সুযোগে বিএনপি ১ লা সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে পুলিশের সাথে দফায় দফায় হামলা, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষন হয়। মেয়র আইভীর বক্তব্য বিএনপির শক্তির উৎস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বৌদ্ধরা।
শামীম ওসমান এমপি বলয়ের নেতাদের তেমন রাজপথে দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতা রাজু আহমেদের নের্তৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বন্দর ১ নং খেয়াঘাটে শান্তি পূর্ণভাবে অবস্থান করেন। দলের নির্দেশনা না থাকার পরও সমাজের অরজগতা রোধে মাঠে ছিলেন বলে রাজু আহমেদ জানান।
তবে দুপুরের পর বিএনপির তান্ডবলীলার পর মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী বলয়ের হেভিওয়েট ৩ নেতা মিছিল বের করেন। ৩ নেতার মিছিলের যে নেতাকর্মী তা দেখে অনেককে বলতে শোনা যায় রাজপথে নামার চেয়ে না নামায় ভাল ছিল। খান মাসুদের পক্ষে এর চেয়ে বেশি লোকজন অবস্থান করতে দেখা গেছে৷ নির্দেশ না থাকায় সল্প পরিশরে। দলের নির্দেশ থাকলে রাজপথে (বন্দর) জননেতা শামীম ওসমান এমপি ভাইয়ের এক হাতিয়ার খান মাসুদের নের্তৃত্বে দখলে থাকবে।