সংবাদ
আদালতপাড়ায় বিএনপির রিমান্ডপ্রাপ্তদের বিক্ষোভ
রূপগঞ্জ থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতাকর্মী পুলিশের হেফাজতে থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল রবিবার সকালে রূপগঞ্জ থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালতে ১৩ আসামিকে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে বেলা এগারোটার দিকে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় আসামিদের গারদে নেওয়ার সময়ে হঠাৎ করে রিমান্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামি আদালত পাড়ায় উচ্চস্বরে শ্লোগান দিতে থাকেন। শ্লোগানে তারা বলে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’, কে বলেরে জিয়া নাই জিয়া সারা বাংলায়, এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ্য জিয়া ঘরে ঘরে, জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো বলে উচ্চস্বরে শ্লোগান দিতে থাকে’। এছাড়াও আগামী ১০ তারিখের বিএনপির জনসভার সফল হবে বলে তারা শ্লোগান দেয়। শুধু তাই না বলতে থাকেন ‘জ্বলোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’, খুনি হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে’। পাশাপাশি শ্লোগান দিতে থাকে ‘পুলিশ লীগের গতিতেও আগুন জ্বালাও একসাথে’। এদিকে হঠাৎ করে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এমন শ্লোগানে আদালতপাড়ার আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ পাহারায় আসামিরা কিভাবে আদালতপাড়ায় সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের শ্লোগান দেয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আর আসামিদের আনা ও নেওয়ার ক্ষেত্রে কোর্ট পুলিশকে আরো সতর্কতা অবলম্বন এবং দায়িত্বশীল হওয়ারও আহ্বান জানান তারা। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালতে আসামিরা শ্লোগান বা মিছিল করতে পারে না। আসামিরা কিভাবে আবার এই ধরনের শ্লোগান দেয়। যদি কোন আসামি এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, গত ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী মো. আশাদুল প্রধান। গত ২৭ নভেম্বর রাতে বিএনপি ও ছাত্রদলের মশাল মিছিল থেকে মোটরসাইকেলে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও আহত করার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগ কর্মী আশাদুল প্রধান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। হামলায় আহত ছাত্রলীগকর্মীর হাত ভেঙে ফেলার চেষ্টা ও তার হাতে ছয়টি সেলাই লাগে বলে অভিযোগ করেন তিনি।