সংবাদ
আ.লীগ বর্গিদের মতো লুটপাট করে: ফখরুল
বাংলাদেশবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই বর্গীদের মতো লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর রিজার্ভ সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, ‘দেশের এতো এতো রিজার্ভ কোথায় গেল? আওয়ামী লীগ চিবিয়ে চিবিয়ে নয়, অর্থনীতিকে গিলে খেয়েছে।’
এ সময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ আমাদের কোন বিকল্প নেই। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি আদায় হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।‘নির্বাচন তো অনেক দূরে, নির্বাচনের আগেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা দেখছি, যা ছিলাম তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছি। আমরা কথাও বলতে পারছি না। আমাদের সভা করতে দেওয়া হয় না, সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। করতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আঘাত করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নির্যাতন করা হয়। জ্বালানি তেল ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির এ সমাবেশ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই আন্দোলনে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, আহত করেছে।’
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এখন বই পড়লে মনে হয়, দেশ স্বাধীন করেছে এক ব্যক্তি ও এক দল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ করেছে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সৈনিকেরা, ছাত্ররা ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ইতিহাসে তাঁদের নাম নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জেগে উঠেছে। সাহসী তরুণদের পদভারে গ্রাম-শহর প্রকম্পিত হচ্ছে। আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, আগামী বছর জনগণের ভোটে বিএনপি আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আপনার চ্যালাচামুণ্ডারা এই যে বলছে, ডিসেম্বর মাসে বিএনপিকে নামতে দেবে না। ডিসেম্বর মাস কি তাদের জন্য? জিয়ার সৈনিকেরা তাদের দাবিদাওয়া পেশ করতে পারবে না?’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, আগামী বছর একটি গৃহযুদ্ধ হবে, যা কারও কাম্য নয়। তবে গৃহযুদ্ধ হলে তাতে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। দুঃশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ। এ ছাড়া অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও এ সরকাররে পতন হবে।’
সভায় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, বজলুর রহমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রমুখ।