সংবাদ
উচ্ছেদের একদিন পরই দখল
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি :
গত মঙ্গলবার রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে ভূলতা গাউছিয়া এলাকাস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ফুটপাত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভূলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নির্মিত ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের ১দিন পরই গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও মহাসড়ক দখলে নেয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। মহাসড়ক দখলে নিতে প্রতিযোগীতা শুরু করেছে চাঁদাবাজরা। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গাউছিয়া ও গোলাকান্দাইল এলাকাস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখলে রেখেছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। ৪ লেন সড়কের ২ লেন দখল করেছে চাঁদাবাজরা। এতে মহাসড়কে যানঝটের পাশাপাশি বাড়ছে দূর্ঘটনা। মহাসড়কে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিটি দোকান থেকে অগ্রীম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া দৈনিক দোকান প্রতি ২’শ থেকে ৩’শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে দৈনিক আড়াই লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয় এখানে। গরীব মেহনতি মানুষের রোজগার করা চাঁদাবাজির মোটা অংকের টাকা যাচ্ছে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থাণীয় নেতাদের পকেটে। গত দু’বছর আগে এ চাঁদাবাজির টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে জাকির হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতা খুন হয়। এছাড়া এ ফুটপাতকে কেন্দ্র করে প্রায় সময়ই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এতে স্থাণীয়রা আতংকে রয়েছে। গত ২২ নভেম্বর দিনব্যাপী রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ফয়সাল হকের নেতৃত্বে মহাসড়ক দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এতে কর্ণপাত করেনি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। তারা উপজেলা াপ্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পরের দিনই মহাসড়ক দখলে নেয়। এতে মহাসড়কে যেমন যানঝটের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার আশংকা। এদিকে চাঁদাবাজদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভূলতা পুলিশ ফাঁিড়কে নিয়মিত টাকা দিয়ে এখানে দোকান বসিয়েছি। তাছাড়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারাও এ টাকার ভাগ পাচ্ছে। এ বিষয়ে ভূলতা পুলিশ ফাঁিড়র ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির কোন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে চাঁদাবাজির সাথে ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁর কোন সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্বে ব্যবন্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ফয়সাল হক জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মহাসড়কে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবেনা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে এখানে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালিত হবে।