সংবাদ
এই সরকারের মনের ঘরে চোর ঢুকেছে: আবদুস সালাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, এই অবৈধ সরকার, খুনি সরকার, লুটেরা সরকারের মনের ঘরে চোর ঢুকেছে। গত কয়েকদিন আগেই একজন সচিব কে বরখাস্ত করা হয়েছে। আবার পুলিশের তিন জন এসপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজকে সরকার বুঝেছেন এই তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। পুলিশের মধ্যেও বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে। পুলিশের মধ্যে ও গণতন্ত্রের পূর্বাভাস লক্ষ্য করেছেন। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, বাংলাদেশে আর কখনো কোন অবৈধ নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্রের সুভাষ বয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টবর) বিকেলে চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোব সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আপনি যা কিছুই বন্ধ করেন, ট্রেন বন্ধ করেন, বিমান বন্ধ করেন, রাস্তা বন্ধ করেন তবে বাংলাদেশের জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। এই স্বৈরাচারী ও দখলদার সরকারের কাছ থেকে দেশকে দখল মুক্ত করার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে । তাই এই সরকারের পতন অনিবার্য।
আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় এদেশের জনগণের কাছে এসে ঘোষণা করেছিলেন, আমি বেগম খালেদা জিয়া, এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে ঘরে ফিরে যাব না। তার নেতৃত্বে সেই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছিল । সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরসূরী জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই স্বৈরাচারী সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আজকে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে রাখা হয়েছে। তার পরেও আমাদের নেতা, জননেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি বলেছেন, আমি তারেক রহমান, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত আমি জনগণের পক্ষে আছি। আন্দোলন-সংগ্রাম সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিতাড়িত হবেই হবে।
তিনি বলেন, আজকে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা দেখেছেন আজকে দেশের কি অবস্থা? এই সরকারের কোন ভিত্তি নাই। এই সরকারের জনগণের মধ্যে কোনো অবস্থান নাই। আমরা যখন সভা-সমাবেশ করতে যাই, সেই সভা-সমাবেশ করার আগেই অনেক রকমের বাধা বিপত্তি দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সমাবেশেও দিয়েছে। সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে, গুন্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পারেনাই চট্টগ্রামের মহাসমাবেশ বন্ধ করতে।
তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করা হয়েছে ময়মনসিংহের সমাবেশকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু নিরস্ত্র জনগণ পায়ে হেঁটে এসে সেই সমাবেশ সফল করেছে। আগামী শনিবার আমাদের ঐতিহাসিক খুলনায় সমাবেশ ডাকা হয়েছে। সেই সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে রাত থেকে তারা হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন। বলছে রাস্তায় ট্রাক চলবেনা, বাস বন্ধ করে দিয়েছেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা দেখেছেন আর একটি প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিট করা হয়েছে। আমরা এই নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যতরকম ষড়যন্ত্র করুন, এই সরকার যতই আপনাদের বাঁশ-খুঁটি দিয়ে টিকিয়ে রাখুক, আপনাদের নেতৃত্বে এ বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না ।
তিনি বলেন, আজকে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া, সমস্ত মূলেই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চান ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোন একদলীয় বাকশাল হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করতে চান আমরা তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে আপনাদের বিচার হবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে, ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন খান, জামাল উদ্দিন কালু, আমান উদ্দিন আমানসহ অঙ্গ ও সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।