সংবাদ
ওসমান পরিবার হত্যার রাজনীতি করে
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১১৫মাস উপলক্ষে, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রঙ্গণে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড. প্রদীপ ঘোষ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনি সুপান্থ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস প্রমুখ। রফিউর রাব্বি বলেন, সরকারের সমালোচনা করার তদন্ত যদি দু-চার ঘন্টায় শেষ হতে পারে, তাহলে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্ত সারে ১২ বছরে শেষ কেন হবে না? এর মধ্য দিয়েই সরকারের চরিত্রটা বুঝে নিতে হবে। সরকার কিভাবে আমাদের সংবিধানকে পদতলিত করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে জারি রাখতে চাচ্ছে। আজ মানুষের সকল অধিকারকে তারা ধ্বংস করছে। ত্বকী হত্যার বিচার আটকে থাকার কারণ হচ্ছে, ত্বকীর হত্যাকারীরা হচ্ছে-সরকার সংশ্লিষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তারপরেও তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। মানুষের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ক্ষমতায় থাকতে চচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের একটি খুনি পরিবারের পক্ষ নিয়ে সরকার নারায়ণগঞ্জের সকল জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। রফিউর রাব্বি আরও বলেন, সরকারের পেটোয়া বাহিনী বানিয়েছে পুলিশকে এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে। তারা সরকারের পক্ষ নিয়ে গুম করছে, খুন করছে; ভিন্ন মতকে দমনের জন্য তারা পৈচাশিক আচারণ করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ওসমান পরিবারর শুধু ত্বকীকে নয়, ত্বকীসহ বিভিন্নজনকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলেছে। আমরা তার বিচার চাচ্ছি। বর্তমান সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, সরকারের যেহেতু জনগণ নাই, তাই তাদের এই বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয়, বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এভাবেই তারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি গত ২০১৩ সালে, পারে আবার ২০১৮ সালেও বলেছিলেন আপনি আর থাকতে চাচ্ছেন না। এর মানে আপনি আবার ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। সকল হত্যার বিচার করেন। ওসমান পরিবারের বিচার করেন। আমি অবাক হই- আপনি একটি খুনি পরিবারের পক্ষ নিয়ে, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন। নূন্যতম বুক আপনার কাপে না।