সংবাদ
করোনায় ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৯৬
স্বাস্থ্য সংবাদ
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৩৭১ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৯৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৬ হাজার ৯০৮ জন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮১টি ল্যাবে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০২টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৭টি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৬ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত দুই জন পুরুষ, তাদের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। মৃত দুই জনের একজন ঢাকা বিভাগের, আরেকজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা। মৃতদের একজন সরকারি হাসপাতালে এবং একজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
এতে আরও জানানো হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩১ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৬৬৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩০ হাজার ৩৭৪ জন।
দেশে করোনায় প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় আবারও মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে।