সংবাদ
কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা হামলা-ভাঙচুর বিএনপি কার্যালয়ের টেবিল-চেয়ারসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করে। উপজেলা বিএনপি এ ঘটনার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন শিকদার বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করার পর তার নিজের ফেরিঘাট এলাকার ঠিকাদারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর জ্বালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তার অফিসের আসবাবপত্র চুরমার হয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।’
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান জানান, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়েছিল। সভা শেষ করে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সবাই যে যার মতো করে চলে যায়। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপটির হাতে বগি, রামদা, লাঠিসোটা ছিল। সন্ত্রাসী হামলায় দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, টিভিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর হয়েছে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে হামলা-ভাঙচুরসহ এ তাণ্ডব চলে।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ‘এ হামলার জন্য আমরা আওয়ামী লীগকেই দায়ী করবো। এর কারণ হল ওরা একদিকে হামলা করেছে, আরেকদিকে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েছে। পুরো কার্যালয়টি ওরা ভেঙে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের সময় বিএনপি নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এভাবে বার বার হামলা হয় একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে, অথচ স্থানীয় আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতারা তা দেখছেন না। এটা দুঃখজনক। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘কে-কখন এ হামলা করেছে, তা আমরা কিছুই জানিনা। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুর হয়েছে কীনা, তা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’