সংবাদ
কাঁচপুরে অটোরিকশা মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ৫জন নিহত
সোনারগাঁ প্রতিনিধি
কাঁচপুর ব্রিজে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১জন মারা যায় এবং আহত ছয়-সাতজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হলে, বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে চিকিৎসক ৪জনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- অটোচালক আবু হানিফ (২৫), নূর উদ্দিন (৪৫), যাত্রী মামুন (৩০), জামাল মিয়া (৪২) ও অজ্ঞাতনামা সনাতন ধর্মে এক ব্যক্তি (৩৬)। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। ৮ জন যাত্রী ছিল রিকশাটির মধ্যে। হঠাৎ ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোতে থাকা সবাই আহত হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বাকি ৫ জনকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর একজন ভর্তি করা হয়েছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন মুঠোফোনে তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচপুর ব্রিজের ঢাকামুখী লেনে একটি অটোরিকশা উল্টোপথে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকামুখী একটি হাইস মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের আল-বারাকা হাসপাতালে মারা যান। আহত ছয়-সাতজনকে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর জানান, মরদেহ ৪টি মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে, নিহত মামুনের ছোট ভাই নাইমুল ইসলাম সুমন জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলায়। পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী এলাকায় থাকেন মামুন। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার লাইন চিফ তিনি। সকালে মামুন একাই তার বাসা থেকে কাঁচপুরে ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। অটোচালক আবু হানিফের ছোট ভাই মো. রতন জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পাটুলি গ্রামে। যাত্রাবাড়ী থানা সংলগ্ন এলাকায় তারা বসবাস করেন। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে।