সংবাদ
কাঞ্চনে নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলার
রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কেন্দ্রিয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৯ আগস্ট কাঞ্চন পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সমাবেশের প্রস্তুতিকালে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাদের এই হামলায় বিএনপির কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায়। এসময় তারা কাঞ্চন পৌর বিএনপির আহবায়ক মুজিবুর চেয়ারম্যান, কাঞ্চন পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবদলের আহবায়ক মুফিকুল খান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কোহিনূর, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সোহেল মিয়া, গোলাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর হোসেনের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আরো অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িঘরে হামলা ও ব্যপক ভাংচুর করে। তাদের হামলায় অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। কাঞ্চনে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘরে আওয়ামী লীগের এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি সারা দেশে জনগণকে সাথে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে যাচ্ছে। সরকারের এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এই দেশের প্রতিটি মানুষের নৈতিক অধিকার। অথচ সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে এই প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও তারা নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী আচরণ সহ্যের মাত্রা অতিক্রম করছে। পাশাপাশি প্রশাসনের নীরব ভূমিকাও এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদ যোগাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই হামলার সাথে জড়িত ও সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনার প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’