সংবাদ
খুন হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গত শনিবার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিপ্লব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গতকাল রোববার মৃতের বোন শ্বাশতী বিপ্লব পুলিশের কাছে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। দুরন্ত বিপ্লব মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি কৃষি খামারের মালিক ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের পাগলা নৌ-পুলিশ থানার পরিদর্শক মো. শাজাহান আলী পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিপ্লব। গতকাল রোববার মরদেহ দেখে তার বোন শ্বাশতী বিপ্লব পুলিশের কাছে পরিচয় নিশ্চিত করেন। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। গত শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাও এলাকা থেকে নিহত দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করে পাগলা নৌ-পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, নিহতের মাথায় অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুকেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এটিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকা- হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফরহাদ। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি উপ-কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্তের বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার ছোট ইলাশপুর। আমার ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সেই সময় ছাত্রলীগের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দুরন্ত। আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয় উপকমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। এমন মৃত্যু মানতে পারছে না দুরন্তের পরিবারের সদস্যরা। দুরন্তের বোন শাশ্বতী বিপ্লবের দাবি, তার ভাইয়ের এমন মৃত্যু হতে পারে না। এটি কখনই কামনা করেন না তিনি। ভাইয়ের মৃত্যুতে গতকাল রোববার আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাশ্বতী বিপ্লব। স্ট্যাটাসে শাশ্বতী লিখেছেন, এমন মৃত্যু ভাইয়া ডিজার্ভ করে না। কোনো দিন না। নারায়ণগঞ্জের পাগলাঘাটে কচুরিপানার ওপর এমন অসহায়ভাবে ভেসে থাকতে পারে না দুরন্ত বিপ্লব নামের কিংবদন্তিতুল্য ভাইটা আমার। সারাজীবন নিজের খেয়ালের রাজা ছিল ও। যারা ওকে চেনে, তারা জানে কী প্রবল আত্মসম্মানবোধ ছিল ওর। লাশ উদ্ধারের পর নৌ-পুলিশ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লাশের ছবি পাঠানো হয়। তখন পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) যারা করেছেন, তাদের খবর দিলে ইমরুল খান নামে একজন এসে লাশটি দুরন্ত বিপ্লবের দাবি করেন। তিনি নিজেকে দুরন্তের বোন জামাই বলে নিজেকে পরিচয় দেন। ইমরুল খান বলেন, দুরন্ত বিপ্লব বিবাহিত, তার স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। দুরন্ত ব্যবসা করতেন। তার বাবা-মা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থাকেন এবং দুরন্ত কেরানীগঞ্জ বসবাস করতেন।