সংবাদ
গাজীপুর পেপার মিলের অন্তরালে অবৈধ কারখানা এখনো বহাল
বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে পূর্ব কেওঢালায় পুরাতন ব্যাটারী কারখানা জন জীবনের জন্য অভিশাপে ও আতংকে পরিনত হয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারী পুরানো কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া, বর্জ্য জনজীবনে চরম দূর্ভোগ ও অভিশাপে পরিনত হয়েছে। বেরে যাচ্ছে মানুষের নানা প্রকার রোগ। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে হাইওয়ে সড়কের পাশে ‘ গাজীপুর পেপার মিলস’র মালিক ইকবাল ওরফে বাটপার ইকবাল বলে পরিচিত। সেই ইকবাল অদৃশ্য কালো শক্তির ইশারায় গাজীপুর পেপার মিলসের পাশাপাশি কেওঢালায় গড়ে তুলেছেন পুরাতন ব্যাটারি পুরানোর কারখানা দিয়ে জনজীবনের জন্য এক আতংকে পরিনত হয়েছে। ইকবাল সরাসরি না আসলেও তার রয়েছে একাধিক বাহিনী। সেই বাহিনীগুলো এগুলোর দেখভাল করেন। যাদের কারনে এলাকার সাধারণ জনগন ও ভুক্তভোগীরা টু- শব্দ করতে সাহস পায় না। এ অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগসহ মানববন্ধন করেও কোন সুফল পায় নি। সকল কিছু যেন ইকবালের এক ইশারায় শেষ। সকল সেক্টর যেখানে নীরব, সেখানে জনদূর্ভোগ লাগবে ব্যবস্থা নিবে কে এমনই প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। ফ্যাক্ট- কেওঢালায় বসবাস মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের হেট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালামের। যে তার ইউনিয়নকে একটি ভাল অবস্থায় নিয়ে আসতে পারলেও পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে পারেনি। বন্দরে যত শিল্প কারখানা আছে তার ৯০ শতাংশ মদনপুর ইউনিয়নে। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান চলে আসছে। সরকার দলীয় কিছু অসাধু নেতাদের অদৃশ্য শক্তির কালো উৎস্যের কারনে চেয়ারম্যান এম এ সালামও অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে নীরব ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। পুরাতন ব্যাটারি পুরানোর কারখানা মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পরিবেশ অধিদপ্তর,। পুরাতন ব্যাটারী পুরানোর বিষাক্ত ধোঁয়া ও বর্জ্য থেকে রক্ষ পেতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ সুপার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। সকল দপ্তর ম্যানেজ করেই তার প্রতিষ্ঠান চলে বলে প্রকাশ্য বলে বেড়ায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার পরিষদের কোন লাইসেন্স আমি এ প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারি না। আমি দেইনি। তার প্রতিষ্ঠানের এমন বর্জ্য ও বিষাক্ত ধোঁয়ার অসহনীয় যন্ত্রণার কথা নিজে উপলব্ধি করি এবং এলাকাবাসীর হাজারো অভিযোগ থাকলেও আমি একার পক্ষে অসম্ভব। উপর মহলের সকল দপ্তর তিনি ম্যানেজ করে গাজীপুর পেপার মিলসের অন্তরালে পুরাতন ব্যাটারী পুরানো হয়। যার কবলে জনজীবনে নেমে এসেছে এক অজানা অভিশাপ ও আতংক। মুখ খুলতে গেলে নানা প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। মুখ বন্ধ করে অভিশপ্ত জীবন যাপন করছেন বলে কেওঢালার শত শত নরনারীর অভিযোগ। তাদের নামগুলো প্রকাশ না করতে বিশেষ অনুরোধ করেছেন প্রতিবেদককে। এতেই প্রমান বহন করে কতটুকু যন্ত্রণার কবলে পতিত ভুক্তভোগীরা।