নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চোরাই তেল ব্যাবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় দোকান কর্মচারীসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।ভাংচুর করা হয় দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১ টার দিকে উপজেলার কলাগাছিয়া চর ধলেশ্বরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে আহতরা হলেন ডালিম (৩০) রমজান (৩৫) ও সবুজ (৪০) ও দোকান কর্মচারী শফিকুল (২৮) ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় হামলাকারিরা ২টি ট্রলার ভাংচুর করে ৭ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন বাড়ি ঘরে হামলা ও লুপাট চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২ ভড়ি স্বণার্লংকার ছিনিয়ে নেয়। আহতদের মধ্যে রমমজানকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। ওই সময় সন্ত্রাসী শাকিল, ইসলাম, অনিক ও পারভেজসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী পুলিশের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত ডালিমের বড় বোন সুমি বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাকিল, ইসলাম, অনিক, পারভেজ,ডালিম, আল-আমিনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার আলীনগর এলাকার মৃত শফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে ডালিমের সাথে একই ইউনিয়নের ঘারমোড়া সরদারবাড়ী এলাকার মহিদ সরদারের ছেলে সন্ত্রাসী ও চিহিৃত জুয়ারী অনিকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১০টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী শাকিল, অনিক,আলামিন, পারভেজ মিলে ব্যবসায়ী বিরোধ নিরসনের জন্য অভিযোগের বাদিনীর ছোট ভাই ডালিমকে চর-ধলেরশ্বরী এলাকায় ডেকে আনে। পরে মিমাংশার নামে একটি ঘরে আটক রেখে ডালিমের নিকট ১ লাখ টাকা দাবি করে। ওই সময় ডালিম টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্রেীখত সন্ত্রাসীরা ডালিমের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিদের কাছ থেকে ডালিমকে বাঁচাতে গিয়ে রমজান, সবুজ ও দোকান কর্মচারী শফিকুল রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় হামলাকারিরা এলাকাবাসী জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন , সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। গুলিবর্সনের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।