সংবাদ
ঢাকার মহাসমাবেশে আমরা যাবো: মুকুল
মহানগর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ যে অবস্থায়ই হোক আমরা সে অবস্থাতেই যাবো। যাই হোক আমরা সবাই যাবো। আওয়ামীলীগের নেতারা বলে জনগণ যতদিন ক্ষমতায় রাখবে আমরা থাকবো। আমিও চাই জনগণ যাদের ভোট দিয়ে যতদিন রাখে ততদিনই থাক। জনগণ ভোট দিতে পারলে কারা ক্ষমতায় থাকে আর কারা থাকেনা তখন দেখায াবে। গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৩নং ওয়ার্ডে ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে হাজী নুরুউদ্দিনের সঞ্চালয়নায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, ফখরুল ইসলাম মজনু, ফারুক হোসেন, সরকার আলম, অ্যাডভোকেট ভাষানী ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ বিভিণœ নেতৃবৃন্দরা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেছেন, তৈমূর ভাইকে সামনে রেখে আমরা সবাই তাকে বললাম আপনাকে দাঁড়াতে হবে। তিনি আমাদের প্রার্থী ছিলেন। সেসময় আজকের এই সদস্য সচিব (আবু আল ইউসুফ খান টিপু) সহআমরা দায়িত্ব পালন করে ছিলাম। কেন আমাকে বহিস্কার করা হলনা। কেন ওই সদস্য সচিবকে বহিষ্কার করা হলনা। তৈমূর ভাইয়ের টাকা গুনতে ভাল লেগেছে। আজ তারা অনেক বাজে কথা বলে। তার প্রাথমিক সদস্য পদ কিন্তু এখনও আছে। তিনি বলেন, আমি যখন নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের ছাত্র তখন তিনি নিরক্ষরতা দূরীকরণ আন্দোলনের একজন সৈনিক ছিলেন। তারপর তিনি মুসলিম একাডেমি করলেন। তারপর তিনি কোর্টে বিচারন শুরু করলাম। তৈমূর ভাই কখনও আওয়ামীলীগ করেননি। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী। দল যখন ক্ষমতার বাইরে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ছিল গডফাদারদের এলাকা। তাদের হামলার শিকার হয়ে ছিলেন এই তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি শহীদ জিয়ার শীষ্য ও তারেক জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তাদের কি লজ্জা করেনা। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ায়। মহাসচিব বলে ছিলেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যাবে। আমাদের কোন ব্যাক্তি সংঘাত নেই। আমরা জিয়ার সৈনিক। আমরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার আহ্বানে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার রাজপথে নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থাকবো। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, আমরা আমাদের মুরুব্বিদের একত্রিত করেছি। যাতে তাদের মতামত নিয়ে আমরা এ ওয়ার্ডে নেতৃত্ব ও কমিটি গঠন করতে পারি। আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সজ্ঞানে এখানে এসেছেন। আমাদের বিএনপির পদ পদবি নেই। আমাদের বিএনপির খোরশেদ, বিএনপির মুকুল- হিসেবেই এ শহরের মানুষ চেনে। তিনি বলেন, আমি এই ওয়ার্ডে বারবার নির্বাচিত হওয়ার পেছনে আল্লাহর রহমত ও বিএনপির লোক হওয়ায় আপনারা বিশ্বাস করে ভোটটা দেন বলেই সফল হয়েছি। আপনারা বিবেচনা করবেন কাদের কাছে নেতৃত্ব নিরাপদ। কারা দলকে এগিয়ে নিতে পারবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসবে। আপনারা সাবধানে থাকবেন। বিগত বিশবছর যাবৎ যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা হলেন অ্যাডভোকেট কালাম ও তৈমূর। কমিটির জন্য লালায়িত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এর আগেও অনেকে দীর্ঘদিন পদবি ছাড়া ছিলেন। কমিটিতে আমরা না থাকলে দুয়েকবছর রেস্টে থাকবো। তবে দলীয় কর্মসূচিতে আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকবো। আমাদের মাঝে যেন কেউ কোন বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।