সংবাদ
নাট্যব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা খসরুর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের প্রয়াত কর্ণধার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিনেতা ও নির্দেশক বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, বন্দর প্রেসক্লাবে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজউদ্দৌলা নট্যদলের সভাপতি মিয়া জামানের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অভিনেতা, নির্দেশক ও নাট্যকার আব্দুল হাই দুর্বার। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতির মন্ডলির সদস্য উত্তম কুমার সাহা, সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক মো: কবির হোসেন, জনেজনে নাট্যসম্প্রদায়ের কর্নধার বাগাউদ্দিন বুলু প্রমুখ। সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের যুগ্ম সম্পাদক খালিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন, সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ মিয়া, সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বশির খান, ইকবাল, ইমরান, সাঈদ, মাহবুব, কাজী লিটন, জামাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ থিয়েটারের মাসুম, কবি সিরাজ। আলোচনা শেষে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামান করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বন্দর প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরু ছিলেন নাট্যাঙ্গনের আলোর দিশারী। তিনি নিজেকে নয় সবসময় অন্যদেরকেই বড় করে দেখতেন। মুক্তিযোদ্ধা খসরুই বন্দরের নাট্যান্দোলনকে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করেছিলেন। তিনি বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংস্কৃতিক কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার নেতৃত্বেই বন্দরের নাট্যান্দোলন বেগবান হয়। প্রসঙ্গতঃ তিনি আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ বেতারসহ ভারতের কলকাতায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটক মঞ্চস্থ করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। ব্যাক্তিগত জীবনেও খসরু ছিলেন একজন নির্লোভ, নিরহংকারী, সদালাপী, মিষ্টভাষী ও মিশুক প্রকৃতির। তার তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে অগণিত নাট্যশিল্পী সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০সালের এই দিনে বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরু ব্রেনষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার বন্দর এইচ,এম,সেন রোডস্থ নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।