সংবাদ
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বক্তাবলী দিবস পালন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে ২৯ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী পরগনার ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বক্তাবলী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বক্তাবলী পরগনায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন না হয়। এদিকে বক্তাবলী দিবস পালন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শহীদ পরিবারের লোকজন কানাইনগর স্মৃতিস্তম্ভ এবং লক্ষীনগর বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে লক্ষীনগরে বধ্যভূমিতে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা পরিষদের সদস্য সাদিয়া আফরিনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহিদ পরিবার নাম সংগঠন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্থানীয় বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আর কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্মৃতিস্তম্ভের দায়িত্ব পালন করে। ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে একে একে স্মৃতিস্তম্ভের বেধিতে আসেন। কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কানাইনগর ছোবহানিয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের বন্ধু মহল। এবি সামাজিক সংগঠন। প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালে ২৯ নভেম্বর পাক-হানাদার বাহিনী বক্তাবলী পরগনার বিভিন্ন বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং ব্রাশ ফায়ার করে ১৩৯ জনকে হত্যা করে। ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা ছাড়া সরকারি ভাবে স্বীকৃতি পায়নি শহিদ পরিবার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হলেও বক্তাবলী পরগনায় ১৩৯ জন শহিদ পরিবারকে সরকারি ভাবে কোন সম্মান করা হয় না বলে অভিযোগ শহিদ পরিবারের।