সংবাদ
না.গঞ্জের সর্বস্তরের শিল্পীদের নিয়ে ডিসি’র আলোচনা
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নব-নির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা হয়েছে।
সোমবার (৩০ আগষ্ট) সর্বস্তরের শিল্পীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রহিমা আক্তার।
জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য উত্তম কুমার সাহা, জনেজন নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি বাহাউদ্দিন বুলু, শিল্পী কল্যাণ সমিতি, নারায়ণগঞ্জ এর সভাপতি এস এম ইকবাল রুমি, অংকুর থিয়েটারের দলপতি মো. ওবায়েদ উল্লাহ, মিডিয়া ভিশন থিয়েটারের কর্ণধার সাব্বির আহমেদ সেন্টু, উর্মি নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার শেখ এম এ মালেক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শোয়েব মনির, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীত পরিচালক মনির হোসেন, আমজাদ হাসান, আবৃত্তি শিল্পী পিন্টু সাহা, সেলিম রেজা, খালিদ সাইফুল্লাহ, যাদু শিল্পী কবির প্রধান, মাইম ফেস এর সভাপতি উজ্জল উচ্ছাস, নৃত্য পরিচালক সামিরা সিদ্দিকী, চৈতন্য নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার এম এ রাসেল ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির তবলা প্রশিক্ষক তিলক চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা ফজলুল হক পলাশ, সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের কর্ণধার খালেকুজ্জামান মিয়া, সংগীত পরিচালক জি এম রহমান রনি, মাসুম আহমেদ, নূরুল হক মান্নাহ, নাটুয়ার কর্ণধার পারভেজ শরীফ, অভিনেতা আজাদ সুমন, মিষ্টি চৌধুরী, রুবেল, সুভাষ চন্দ্র দাস, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন,হৃদয়ে শিল্প-সংস্কৃতি না থাকলে ভাল মানুষ হওয়া যায়না। যার মধ্যে সংস্কৃতি নেই সে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কাছে দিন-রাত যেমন যে মানুষটার মাঝে কালচার ঢোকে নাই, শিল্প ঢোকে নাই,গান ঢোকে নাই,নাটক ঢোকে নাই,যাত্রা ঢোকে নাই,যার ভেতরে জ্ঞানের আলো ঢোকে নাই সে সমাজকে কিভাবে আলোকিত করবে। এক কথায় যার মাঝে কালচার আছে সে আলোকিত মানুষ। শুধুমাত্র কৃষ্টি কালচারই পারে মানুষকে সুস্থ্য ও সুন্দরের পথে হাঁটাতে। শিল্প-সংস্কৃতি না থাকলেই মানুষকে আনকালচার বলা হয়।
সভা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলার আয়োজনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র সহযোগিতায় নির্মিত ৫মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘উত্তরণ’ প্রদর্শিত হয়। পরিশেষে শিল্পকলার ২দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালা পরিচালনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।