সংবাদ
বন্দরে শালিস বৈঠকে সন্ত্রাসী মামলায়
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে শালিস বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে টুটুল (৩২) নামে এক যুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পায়া গেছে। গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ডের কবিলেরমোড়স্থ উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুকুলের অস্থায়ী কার্যালয়ে বিচার শালিসী বৈঠকে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় হামলাকারি মুরাদ, সাগর ও জিসানসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী টুটুলকে বেদম ভাবে জখম করে তার সাথে থাকা ১টি বাটান মোবাইল সেট, নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহতকে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহতের আত্মীয় সেলিনা বেগম বাদী হয়ে উল্লেখিত ৩ সন্ত্রাসীসহ ৫ জনের নাম উল্লেক্র করে বন্দর থানায় আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিচার শালিস বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উক্ত এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগমের সাথে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাড়া এলাকার হারুন অর রশিদ মিয়ার ছেলে মুরাদ একই এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে সাগর একই এলাকার চেউয়া মিয়ার ছেলে জিসান উক্ত এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে মুন্না ও সাগর মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ গং এর পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে উল্রেখিত বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। এর ধারাবাহিকতায় গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টায় উক্ত মামলা নিয়ে আপোষ হওয়ার জন্য বাদী ও বিবাদীদের নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান মকুলের অস্থায়ী কার্যালয়ে বিচার শালিসি বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে উল্লেখিত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী ও তার ছেলে উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুটুলকে আঘাত করলে টুটুল রক্তাক্ত জখম হয়। পরে শালিশি বৈঠকে উপস্থিত লোকজন আহতকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এ ঘটনায় থানায় উল্রেখিত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।