সংবাদ
বন্দরে শীতের আগমনে লেপ-তোষকের কদর
মেহেদী হাসান মুন্না:
শীতের আগমনী বার্তায় নারায়ণগঞ্জ বন্দরে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকান গুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোষক মেরামতে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কারিগররা জানান বিগত বছরের তুলনায় এবারের শীতে লেপ-তোষকের চাহিদা কিছুটা কম। এখনো লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়েনি। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে এমনটাই আশা করছেন ব্যবাসায়ীরা। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল তবে বাংলাদেশে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি দিক থেকেই শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। তাই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি হিসাবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দোকানে মজুদ করে রাখছেন। বন্দরে বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শীতের আগাম প্রস্তুতির জন্য লেপ-তোষক বানাতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কারিগররাও এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর একটি লেপ তৈরি করতে ১৩শ টাকা থেকে ১৫শত টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে একটি লেপ বা তোষক তৈরিতে একজন কারিগর ১৫০ টাকা করে মজুরি পান। বন্দর বাবুপাড়া এলাকার ভাই ভাই বেডিং স্টোরের মালিক মজনু মিয়া বলেন, শীত মৌসুমে তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক তৈরির কাজ পান বছরের বাকি সময় তাদের এত কাজ থাকেনা। একটি লেপ বা তোষক তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে ১ ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে ৮ থেকে ১০টি লেপ বা তোষক তৈরির কাজ করতে পারেন। এ বছর কাজের চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগরদেরও উপার্জন কমে গেছে। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে। এমন আশাই করছেন ব্যবসায়ী ও কারিগররা।