সংবাদ
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি থেকে ৭ জঙ্গি গ্রেপ্তার
বান্দরবন প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব ৭ ও ১৫ এর সদস্যরা রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির দুর্গম সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে এসবিবিএল বন্দুক ৯টি, এসবিবিএল বন্দুকের গুলি ৫০ রাউন্ড, কার্তুজ কেইস (এসবিবিএল বন্দুক) ৬২টি, হাত বোমা ৬টি, কার্তুজ কেইস ১টি, কার্তুজ বেল্ট ২টি, দেশী পিস্তল ১টি, বিভিন্ন দেশী অস্ত্র, ওয়াকিটকি ১টি, ওয়াকিটকি চার্জার ৩টি, প্রস্তাবিত কুকি চিন রাজ্য লিখা ১০টি মানচিত্রসহ নানা ব্যবহার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের গণসংযোগ (মিডিয়া) বিভাগের পরিচালক খন্দকার আল-মইন।
র্যাব জানায়, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িত হয়ে তারা দেড় মাস হতে দু’বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তারা বিভিন্ন এলাকায় শারীরিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক জ্ঞান গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জ্যেষ্ঠ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেইফ হাউজে থাকতো। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ তরুণদেরকে বান্দরবানের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পরবর্তী ধাপের প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হত।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত। প্রশিক্ষণে তাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো, আইইডিসহ বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরি, চোরাগুপ্তা হামলা, প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার বিভিন্ন কৌশলসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞান বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত।
খন্দকার আল-মইন বলেন, জঙ্গিবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আছে। বিশ্বের বুকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ রোল মডেল। যারাই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্রয় দেবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।