সংবাদ
বিএনপির মিছিলে পুলিশি লাঠিচার্জ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধান। একইসঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত সাগর প্রধান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তার বাসায় গিয়েছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা। অন্যদিকে একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সাত খুন মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে রাজপথে যিনি জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছিলেন সারা দেশব্যাপী আলোচিত সেই অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধাক্কা দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমানের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে পুলিশের এই কর্মকর্তা অশোভন আচরণ করেছেন বলেও বিএনপি নেতা কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও রাজনৈতিক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে সদর থানা পুলিশের ওসির এমন আচরণ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদিকে সাগর প্রধানের উপর পুলিশের এমন হামলার ঘটনায় মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরাও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনা সূত্রে, গতকাল বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ১৫ নং বিএনপির উদ্যোগে মহানগরের মন্ডলপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। ওই সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। মিছিল করতে না দিলেও নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসেই বক্তব্য দিতে থাকেন। এদিকে যখন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য রাখছিলেন তখন সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান দৌড়ে এসে সাখাওয়াত হোসেন খানের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। একই সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। ওই সময় মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাগর প্রধান সহ অন্তত ৭ থেকে ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা যে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্টের বাসিন্দা সেটা ভাবতেও আমাদের কষ্ট লাগে। সরকারী দলের লোক হয়ে রাস্তায় মিছিল করছে অথচ আমরা রাস্তার পাশেও দাঁড়াতে পারছিনা। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সমাবেশ করতে চাইছি কিন্তু পুলিশ তাতেও বাঁধা দিচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সারাদেশে সমাবেশ করছি। আজকে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে কথা বলতে আসায় আমাদেরকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার শেষে তৎক্ষণাৎ মহানগর বিএনপির নেতারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলে সংবাদ ব্রিফিং করেছেন। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ সিনিয়র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।