সংবাদ
ভালো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পড়ার আগ্রহ বাড়ায়: ডিসি
মানুষ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, বিল্ডিং বানায়, ডিএনএ টেস্ট করে, মানুষ প্লান করে মার্সে গেলে কি হবে। কিছু কিছু মানুষ সৃষ্টির কথা ভাবে, তারা নতুন নতুন আবিস্কার করে যায় আর তারাই অমর হয়ে যায়।’নারায়ণগঞ্জের ‘ফিলোসফিয়া ইংলিশ মিডিয়াম এন্ড ইংলিশ ভার্সন স্কুল’র উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আয়োজিত বিজ্ঞান মেলার এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন মো. মঞ্জুরুল হাফিজ। তিনি বলেন, আজকের এই ফিলোসোফিয়া স্কুলের বিজ্ঞান মেলা খুব সুন্দর হয়েছে। এখানে একটা পশু-পাখির প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। মানুষ আর এনিমেল এর তফাৎ আসলে কোথায় তা বুঝানো হয়েছে। আসলে কোন পশু পাখি বিজ্ঞান মেলা করে নাই, এতো সুন্দর করে অনুষ্ঠান করে নাই। তার মানে মানুষের বুদ্ধি আছে, আর তাই মানুষকে বলা হয় ন্যাশনাল এনিমেল’স। শিক্ষকদের উদ্যেশে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা বিদেশি কারিকুলাম ফলো করি। আপনারা যতবেশী বাচ্চাদের পড়াতে যাবেন, ততবেশী ও ভুলে যাবে। এর মানে তার ভিতরে ক্ষুধা সৃষ্টি হয়নি। অনেক মা-বাবা মনে করে আমার বাচ্চা ৪টা ৫টা টিচার দিয়ে পড়াবো। বাচ্চাদের যতবেশী টিচার দিবেন, সে ততবেশী ভয় পাবে। বাচ্চাদের প্রতি শিক্ষার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। যে টিচার বাচ্চাদের পড়ায়, সে টিচার না। মূলত সেই ভালো টিচার, যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ তৈরী করতে পারে। আমরা বাচ্চাদের কর্মাশিয়াল করে তুলি, যেমন রোগী মৃত্যুর আগে আইসিইউতে থাকে। রোগীকে বিভিন্ন উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়, উন্নত ডাক্তারের সেবা দেয়া হয়। তেমনি বাচ্চাদের বেশী বেশী টিচার রাখা হয়, বেশী চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু আপনার বাচ্চার মধ্যে কিন্তু সেটা নেই। তাই তাকে তার মতো চিন্তা করতে দেন, নতুন ভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করতে দিন। নিজের আগ্রহ নিজে সৃষ্টি করতে দেন। যে শিক্ষক তার স্টুডেন্ট এর মধ্যে পড়ার আগ্রহ তৈরী করতে পারলো সেই হলো বেষ্ট টিচার। সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের ডন চেম্বার এলাকায় অবস্থিত ফিলোসফিয়া স্কুল প্রাঙ্গণে ওই বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে, বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প, প্রাকৃতিক, উন্নয়ন, সামাজিক কর্মকান্ডে বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ৩৫টি প্রোজেক্ট তুলে ধরেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সব গুলো স্টলে ঘুরে বাচ্চাদের সাথে প্রোজেক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করেন। তাদের অনুপ্রাণিত করে। ফিলোসফিয়া ইংলিশ মিডিয়াম এন্ড ইংলিশ ভার্সন স্কুল’র চেয়ার পার্সন ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আজকে ফিলোসোফিয়া স্কুলের যে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই বিজ্ঞান মেলা থেকে যদি বাচ্চারা কিছু অর্জর করতে পারে, তাহলে এটাই হবে এই আয়োজনের সফলতা। আমি আশা করবো তোমরা ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরও ভালো করে সাইন্স ফেয়ারের আয়োজন করবে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন খেলাধূলার করবে। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে এই ধরণের প্রোগ্রাম গঠনমূলক বলে আমি মনে করি। আজকে জেলা প্রশাসক মহোদয় এখনে এসে বাচ্চাদের যে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ফিলোসফিয়া ইংলিশ মিডিয়াম এন্ড ইংলিশ ভার্সন স্কুল’র চেয়ার পার্সন সেলিনা বেগম বলেন, আমাদের লক্ষ্যে তাকে বাচ্চাদের কিভাবে অনুপ্রানিত করা যায়। পড়াশোনার বাহিরে গিয়েও আমরা বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয়ে অনুপ্রেরনা তৈরী করি। আমাদের টিচারদের এই আয়োজনে আমরা চাই এই বিজ্ঞান মেলা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করুক। করোনা কালিন সময়ে বাচ্চারা ফ্রাস্টেশনে চলে গেছিলো, আমরা চেষ্টা করেছি এমন আয়োজনের মধ্যে তাদের ফিরিয়ে আনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলোসফিয়া ইংলিশ মিডিয়াম এন্ড ইংলিশ ভার্সন স্কুল’র ভাইস পিন্সিপাল দাযা সাইদ, প্রধান প্রশাসক মাহমুদ রব ভূঁইয়া, ডিরেক্টর মিস. সেলিনা বেগম, মিসেস হুমাইরা রহমান, সাইফুল ইসলাম, জেড.এইচ বাবু, ইকবাল হোসাইন শিপন, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।