সংবাদ
মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্ট্যান্ড করে চাঁদাবাজি
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশ দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এছাড়া মহাসড়কের যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর অবৈধভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। এতে মহাসড়কে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে চলাচলের রাস্তা। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা। আর এই অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে অহরহ। ডেমরা-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ প্রবেশ মুখের দুই পাশের রাস্তা দখল করে এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে নামধারী কতিথ নেতা সুমন ওরফে ড্রাইভার সুমন, শাহ আলী ওরফে গাঁজা শাহাআলী, বুদ্দা ওরফে ছিনতাইকারী বুদ্দা। তাদের নেতৃত্বে এই অবৈধ সিএনজি আটোরিকসা স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। এই স্ট্যান্ডে সারাক্ষন গাঁজা সেবন চলে এবং ছিনতাইকারীর আনাগোনা চলে দিনভর। এই রাস্তা দিয়ে আদমজী ইপিজেডসহ কয়েকটি গার্মেন্ট এবং কল-কারখানার শ্রমিক যতায়াত করে। আর প্রতিনিয়ত চোর, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে শ্রমিকরা। শিমরাইল মোড়ের ডেমরা রাস্তার প্রবেশ মুখের দুই পাশের রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি, আটোরিকশা, লেগুনা, ছোট-ছোট দোকান পাট। এগুলো থেকে চাঁদাবজি করছে র্যাব-পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হওয়া সোহেল ওরফে মাদকসেবি সোহেল, সোহেলের সহযোগী সমির। এই চাঁদাবাজির মোটা একটা অংশ মাসোহারা হিসাবে পায় হাইওয়ে পুলিশ, শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টি আই শরফুদ্দীন। যার কারণে বীরদর্পে অবৈধভাবে চাঁদাবজি করে যাচ্ছে সোহেল ও সমির। এই অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ট্রাফিক বিভাগের শিমরাইল ক্যাম্প ইনচার্জ টি আই শরফুদ্দীন। এই অবৈধ স্ট্যান্ড থাকার কারণে প্রতিনিয়ত হচ্ছে চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবিদের উৎপাত। আর সাধারণ যাত্রীরা হচ্ছে ভোগান্তির স্বীকার, পাচ্ছেনা না কোন প্রতিকার। খানকা মসজিদের সামনে ডেমরা-বটতলা রাস্তার প্রবেশ মুখের রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে আটারিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড। আর এই অবৈধ স্ট্যান্ড দিয়ে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করছে র্যাবের হাতে আটক হওয়া শামীম ওরফে মাদকসেবি শামীম। এই রাস্তা দিয়ে সাধারন মানুষের চলাচলে বিঘœ হয়। চাঁদাবাজরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে রাস্তার উপরে বসিয়ে দিয়েছে ফলের দোকান। এই দোকান ও আটোরিকশা থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করছে একটি সিন্ডিকেট। আর এই চাঁদার একটি অংশ মাসোহারা পায় টি আই শরফুদ্দীন। ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে ইউর্টান এলাকায় মহাসড়কের রাস্তার মাঝখানে নিষিদ্ধ আটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরী করেছে চালকরা। এই স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও কোন প্রদক্ষেপ নেন না টি আই শরফুদ্দীন। কাচঁপুর ব্রীজের ঢালে ঢাকা-চট্টগ্রাম আউট-গোয়িং এবং ইন গোয়িং সাজেদা হাসপাতালের দুই পাশে এবং সড়ক ও জনপথের অফিসের সামনে মহাসড়কের পাশেই হিমাচল, নীলাচল, দূরন্ত, বন্ধু পরিবহনসহ কয়েকটি পরিবহন কোম্পানী অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে পার্কিং করে বসে থাকে মালিক এবং চালকরা। এই অবৈধ পার্কিং করার কারণে মানুষের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেই সাথে চালকরা প্রতিনিয়ত সেবন করছে মাদক। পোষাক শ্রমিকরা পরছে ছিনতাইকারির কবলে। মহাসড়কের মৌচাক ষ্ট্যান্ডের দুই পাশের রাস্তা, সানারপাড়ের দুই পাশের অংশে মহাসড়কের পাশ ঘিরে গড়ে উঠছে সিএনজি, অটোরিকশা, লেগুনা, প্রাইভেট, পিক-আপের অবৈধ স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ড বসিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন চাঁদাবজি করছে। এই সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন, সেলিম, নাছির, লেংড়া আমজাদ, নাগরসহ একটি প্রভাবশালি মহল। এই চাঁদাবাজির মোটা অংকের একটি অংশ মাসোহারা হিসেবে পাচ্ছে টি আই শরফুদ্দীন। এই কারণে কোন অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেন না তিনি। এই স্ট্যান্ড কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত হচ্ছে মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, জুয়ার মত জঘন্য কাজ। আর ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ পথচারিরা। আর নীরব ভূমিকা পালন করছে টিআই শরফুদ্দীন। সরেজমিনে দেখা যায়, ডেমরা-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ প্রবেশ মুখের দুই পাশের রাস্তা, শিমরাইল মোড়ের ডেমরা রাস্তার প্রবেশ মুখের দুই পাশের রাস্তা, খানকা মসজিদের সামনে ডেমরা-বটতলা রাস্তার প্রবেশ মুখের রাস্তা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে, ইউটার্ন এলাকায় মহাসড়কের রাস্তার মাঝখানে, মহাসড়কের দুই ফ্লাইওভার ব্রীজের নিচের আংশ, কাচঁপুর ব্রীজের ঢালে সাজেদা হাসপাতালের দুই পাশে, মৌচাক ষ্ট্যান্ডের দুই পাশের রাস্তা, সানারপাড়ের দুই পাশের অংশ রাস্তা দখল করার কারণে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জগামী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ভাবে রাস্তা পারাপার করার জন্য (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছে, যার ফলে দূর্ঘটনা কম হয়ে থাকে। আর সেই ফুট ওভার ব্রিজের উঠা-নামার রাস্তার অংশ দখল করে সিএনজি ও লেগুনা স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে চাঁদাবাজরা। আর এই দখলদারিত্বের কারণ হলো চাঁদাবাজদের লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্প ইনচার্জ (টিআই) শরফুদ্দিন বলেন, উল্লেখিত এলাকায় কোন চাঁদাবাজ নেই। আমরা সবসময় মহাসড়কের ২০ ফিট এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে সবসময় কাজ করছি। এই এরিয়ার মধ্যে কোন অবৈধ ষ্ট্যান্ড কিংবা পার্কিং স্পট নেই। তাই আর্থিক লেনদেনের সাথে আমাদের সংশ্লিষ্টতার কোন ভিত্তি নেই।