সংবাদ
মানিকগঞ্জে চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জে ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) চেয়ারম্যান শফিক ও তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও অভিযুক্তাদের কেউ এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার চক মিরপুর ইউনিয়নের চক খরিচরণ এলাকায় সরকারি জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঘটনাস্থলেই হামলার শিকার হন তারা। চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (শফিক) তার অনুসারীদের নিয়ে অতর্কিত এই হামলা চালায়।
মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তার অনুসারীদের নিয়ে সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমন মিয়া, বিএনপি নেতা এবং ভূমিদস্যু মো, রফিকসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর করে। একপর্যায়ে টেনে হিছড়ে বাজার সংলগ্ন একটি ভবনের পৃথক দুটি রুমে নিয়ে আটক করে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়ার চেষ্টা করে ইউপি চেয়ারম্যান শফিক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আতাউর রহমান।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে ভূক্তভোগী সাংবাদিক রফিক খান বলেন, ঘন্টাব্যাপী চলে শারিরিক নির্যাতন, ধারণ করা হয় এসব ভিডিও। চাও্য়া হয় চাঁদাবাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী। অস্বীকৃতি জানালে বদ্ধ ঘরে চলে বেধরক নির্যাতন যা ইউপি চেয়ারম্যানের সামনেই হচ্ছিল।
এবিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সফিক চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে দ্বিতীয় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, আমি ঘটনার শেষে সেখানে যাই। সফিক চেয়ারম্যানসহ সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের অবস্থার অবনতি দেখে আমি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জরিত না বরং সাংবাদিকদের সহযোগীতা করেছি।
এঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দৌলতপুর উপজেলার চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘অন্যায়কারি যেই হোক আইন তার গতিতে চলবে। এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি করি।’
এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার নেই জানিয়ে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।