সংবাদ
মাল্টা চাষে হিমেলের ভাগ্য বদল
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাল্টা চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ উদ্যোক্তা হিমেল আহম্মেদ। বাড়ির আঙিনায় ৩০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৬০টি চারা লাগিয়ে শুরু করেন মাল্টা বাগান। সবুজ মাল্টায় লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন তরুণ এই কৃষক।
উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বেইলা গ্রামের তরুণ এই উদ্যোক্তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শখ করে তিনি বাড়ির আঙিনায় প্রায় ৩০টি জাতের বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করেছেন। এর মধ্যে শুধু মাল্টা বাগান করেছেন প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে। এই মাল্টা বাগানে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এখন প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি করছেন ৭০ টাকা ।
হিমেলের রয়েছে ড্রাগন (লাল, হলুদ, বেগুনী), থাই ও চায়না কমলা, ত্বীনফল, লটকন, বেলি বেল, থাই জাম্বুরা, পেয়ারা, লেবু, কলা, চালতা, আমলকী, কামরাঙা, আমড়া, অগ্নিশ্বর কলা, বুম্বাই আখ ও কাশ্মীরী কমলাসহ দেশি জাতির অন্যান্য ফলের বাগান। এ বছর কয়েক লাখ টাকার মাল্টা ও ড্রাগন বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি ।
তরুণ উদ্যোক্তা হিমেল আহম্মেদ বলেন, আগে এ জমিতে লেবু লাগানো করেছিলাম । লেবুর বাজার মন্দা থাকায় গাছ কেটে ড্রাগন ও মাল্টা বাগান শুরু করি । সুস্বাদু মিষ্টি ও রসালো মাল্টা চাষ করায় রীতিমতো এলাকায় হৈ চৈ পড়ে গেছে। সবার দৃষ্টি এখন মাল্টা বাগানের দিকে। অনেকেই মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে শখ করে বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মাল্টা চাষ শুরু করেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। গত বছর ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। এ বছর দেড় দুই লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো। এই তীব্র তাবদাহে তাজা, বিষমুক্ত, সুমিষ্ট সবুজ মাল্টার বেশ কদর রয়েছে । বিদেশ থেকে আনা কমলা, মাল্টা, আপেল ও বেদানার সঙ্গে বেশ পাল্লা দিয়েই চাহিদার শীর্ষে এখন দেশিয় টাটকা মাল্টা। ক্রেতা-দোকানির কাছে আমদানি করা হলুদ রঙের চেয়ে সবুজ মাল্টার কদর বেশি।
ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, পাহাড়ি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষ বেড়েছে। আমরা চাষিদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।