সংবাদ
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ফতুল্লায় বামজোটের বিক্ষোভ
সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙ্গেঁ দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্য পণ্যের দাম কমানো, রেশনিং চালু, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ, কালো টাকা ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ফতুল্লা থানা শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার বিকাল ৪ টায় ফতুল্লা শিবু মার্কেটে ও বটতলা রেললাইনে সমাবেশ ও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবির ফতুল্লা থানার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সিপিবি জেলার সম্পাদক ম-লীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক এম এ মিল্টন, সদস্য সচিব এসএম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলার সভাপতি শাহীন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন, দুর্নীতি, দলীয় করণ, লুটপাটে জনজীবন বিপর্যস্ত। তথাকথিত উন্নয়নের ডামা ঢোলের মধ্যে চাপা দেয়া হচ্ছে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের কান্না। চাল, ডাল, চিনিসহ নিত্য পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। শতকরা ৬৮% মানুষ খাবার কিনতে হিমসিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। গ্রাম-শহরের গরীব মানুষ বাচঁতে প্রয়োজন রেশনিং ব্যবস্থা চালূ করা। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১২% থেকে ১৫% বেড়েছে। আর সরকার বাড়িয়েছে ৪২% থেকে ৫১%। এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। অথচ গত ১২ বছরে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৮৬ হাজার কোটি টাকা সরকার দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সরকার শর্তের বিনিময়ে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে অথচ প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০০ কোটি ডলার যে পাচার হচ্ছে তা ঠেকাতে পারছে না। গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ অবলোপনের ঘোষণা করেছে। যদি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও ব্যাংক ডাকাতদের কাছ থেকে ঋণ উদ্ধার করতে পারতো তাহলে সামান্য কিছু টাকার জন্য আইএমএফের কাছে ধর্ণা দিতে হতো না। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতায় আসে। আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য নীল নকশা তৈরি করছে। সরকারের পরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম এ নির্বাচনের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।