সংবাদ
সীতাকুন্ডে চারা গাছ কাঁটার অভিযোগ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পাহাড়ে লাগানো ৩ শতাধিক ফলের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় নুর উদ্দিন পারভেজ নামের এক ব্যক্তি উপজেলার বন বিভাবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। তবে বন বিভাগ বলছে সংরক্ষিত বনাঞ্জল দখল মুক্ত করতে চারা কাটার কথা। নুর উদ্দিন পারভেজ নিজেকে বন বিভাগের তালিকাভূক্ত একজন উপকারভোগী হিসাবে দাবি করেন।
তিনি জানান, বিগত ২০০৪ সাল থেকে তিনি তালিকাভূক্ত উপকারভোগী হিসাবে বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড়ে বনজ বৃক্ষ রোপণ করেন। এরপর থেকে এতোবছর পর্যন্ত গাছের দেখভাল করে আসছেন। গত বছর ইজারার মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে বনবিভাগ। এরপর থেকে খালি পড়ে আছে পাহাড়। তাই গাছ কাটার পর আম, কাঠাল, পেয়ারা, কলা, লিচু, মাল্টাসহ কিছু সংখ্যক ফলের চারা লাগান।
এ ব্যাপারে বনবিভাগ থেকে কোন নিষেধ করা হয়নি। কিংবা লাগানোর পরও তাকে কিছু জানায়নি কেউ। হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে রেন্জার আলতাফ হোসেনের নির্দেশে ফরেষ্টার আবুল হোসেন লোকজন নিয়ে তার লাগানো গাছগুলো সব কেটে ফেলেন। গাছগুলো না কেটে তাকে জানানো হলে তিনি তুলে অন্যত্র নিয়ে যেতেন বলেও জানান।
বারৈয়াঢালা বিট অফিসের ফরেষ্টার আবুল হোসেন বলেন, এটা বন বিভাগের সংরক্ষিত জায়গা। কে বা কারা এখানে গাছ লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করলে আমরা গাছগুলো কেটে বন দখলমুক্ত করি।
রেন্জার আলতাফ হোসেন বলেন, কে বা কারা আমাদের না জানিয়ে ফলের গাছ লাগায়। এখানে ফলের গাছ লাগানোর অনুমতি নাই। এখানে শুধু বনজ গাছ লাগানোর নির্দেশ আছে। বারবার খবর দিলেও কেউ সাড়া না দেয়ায় বাধ্য হয়ে গাছের চারাগুলো কাটা হয়েছে।