সংবাদ
সৈয়দপুরে চাঁদার দাবিতে ট্রান্সপোর্ট অফিস ভাংচুর
নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন পুরান সৈয়দপুর এলাকায় বগুড়া ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি নামক একটি ট্রান্সপোর্ট প্রতিষ্ঠানে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে ভাংচুরের ঘটনায় সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানায় পুরান সৈয়দপুর এলাকার আলী আকবর মিয়ার মেয়ে তাহমিনা (২৮) বাদি হয়ে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের বিবরনে তাহমিনা জানায়, পুরান সৈয়দপুর এলাকার খলিল বাইদ্দার ছেলে বাবু (৩৭), জলিল বাইদ্দার ছেলে রানা (৩৫), খলিল বাইদ্দার ছেলে মহাসিন (২৮), আবুল মিয়ার ছেলে কবির (৩০), মৃত: দৌলত মেম্বারের ছেলে কাশেম স¤্রাট (৩৭), আক্তার বাদ্দার ছেলে জিশান (২৫), জলিল বাইদ্দার ছেলে সুহেল (৪০), মৃত: দৌলত মেম্বারের ছেলে ফয়সাল (৩০), আবুল মেম্বারের ছেলে শাহ পরান (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী সৈয়দপুর এলাকায় তার মালিকানাধীন “ বগুড়া ট্রান্সপোর্ট” নামের একটি একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির অফিস সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উক্ত অভিযোগের বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন অবৈধ জনতাবদ্ধ হইয়া লোহার পাইপ, কাঠের লাঠি সোটা নিয়ে অত্র থানাধীন পুরান সৈয়দপুর এলাকার ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর পশ্চিম পাশে মিন্টু মিয়ার বাড়ির নিচতলাস্থ আমাদের বগুড়া ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির অফিসে জোর পূর্বক ভাবে প্রবেশ করে লোহার পাইপ ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথারী বারি মেরে অফিসের থাই প্লাস ভাংচুর করে আমার নিযুক্ত ম্যানেজার মুশফিক (২৯), পিতা- সিরাজুল ইসলামকে ১ ও ২নং বিবাদীর এলোপাথারী চর থাপ্পর মেরো ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী কললে আমার ম্যানেজার মুশফিক কোনক্রমে বিবাদীগণে হাত হইতে প্রানে বেঁচে অফিসের ভিতরের একটি রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বিবাদীগণ আমার অফিসের সকল আসবাবপত্র ও মালামাল ভাংচুর করে আমার প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে অফিসের টেবিলের উপর থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা মূল্যের একটি ল্যাপটপ ও টেবিলের ড্রয়ারের (ক্যাশে) থাকা ব্যবসার নগদ চার লক্ষ ষাট হাজার পাঁচশত টাকা নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রীরা আমাকে হুমকি দিলে বলে তাদের দাবীকৃত ২০লক্ষ টাকা না দিলে পুনরায় আমার অফিসে হামলা সহ আমার ব্যবসা উচ্ছেদ কওে দেবে। পরবর্তীতে রাত অনুমান আড়াইটার দিকে ৪নং বিবাদীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৯৪৩০২৯৫২৫ নাম্বার হইতে ফোন করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে উক্ত বিষয়ে বারাবারি করলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এস,আই হাফিজ জানান, ঘটনা স্থলে গিয়ে আমি অফিস ভাংচুর দেখেছি। আর অফিসের ক্যাশ বাক্সতে কিছু টাকা ছিলো সেটা নিয়ে গেছে। সেখানের পাশের দোকানের সিসি ক্যামেরা আছে আগামী শনিবার সেটা দেখব কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত।