সংবাদ
স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে চার আসামীকে মৃতুদণ্ড ও এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে এক আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ দায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর, শুক্কুর আলী। সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। নাসরিন আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে পলাতক ছিল রবিউল ও ডলি বেগম। বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল ১১ বছর বয়সী আফসানা আক্তার নিপা। ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে তাঁকে জোরপূর্বক বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তার হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা জানান, ঘটনার দিন কামরুল, রবিউল, শুক্কুর আলী মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রলার চালক আলী আকবর। কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, তারা ৩ জন মেয়েটিকে ধর্ষণ করছেন। এসময় পুলিশকে বলে দেবেন জানালে আলী আকবরকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দেয়ায় বাকি ৩ জন। পরে ধর্ষণ শেষে তাকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুত্বর। পরে সে আর ধর্ষণ করেনি। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় পরে নাসরিনের বাসায় নেয়া হয়। দু‘জনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৬ সালে পুলিশ আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। এ ঘটনায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। তারই ভিত্তিতে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় ৪ আসামি মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। এসময় আরো একজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।